Header Ads

এমবোলেকটমি কখন, কীভাবে ও কেন করা হয়

এমবোলেকটমি কি?
 
এমবোলেকটমি হচ্ছে স্টোকের রোগীদের জন্য একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। স্ট্রোকের রোগীদের মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল সচল করতে অপারেশন ছাড়াই এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হয়।
স্ট্রোকে আক্রান্ত কোনো রোগীর যখন মস্তিষ্কের বৃহৎ রক্তনালি যেমন সেরিব্রাল ধমনি বা ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারি ব্লক হয়ে যায় তখন এমবোলেকটমির মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়।

 
এমবোলেকটমি কখন করার প্রয়োজন হয়?
স্ট্রোকে আক্রান্ত কোনো রোগীর যখন মস্তিষ্কের বৃহৎ রক্তনালি যেমন সেরিব্রাল ধমনি বা ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারি ব্লক হয়ে যায় তখন এমবোলেকটমি করা প্রয়োজন।
 
এ আর্টারি ব্লক হয়েছে কি না- তা বোঝার উপায় আছে কি?
এ প্রসিডিউর করার আগে রোগীর সিটি এনজিওগ্রাম করে নিশ্চিত হওয়া যায় বৃহৎ ধমনিগুলো ব্লক কিনা। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ৮ ঘণ্টার মধ্যে এমবোলেকটমি করলে রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ক্যাথল্যাবে ডিভাইস ব্যবহার করে এ পদ্ধতি করা হয় বলে একে মেকানিক্যাল থ্রম্বেকটমি বলে।
 
 স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি কী?
 
প্রথমেই রোগী ইসকেমিক স্ট্রোক বা রক্তনালি সংকুচিত হয়ে যাওয়াজনিত স্ট্রোক নাকি রক্তক্ষরণ বা হেমোরেজিক স্ট্রোকে আক্রান্ত কি না- তা নির্ণয় করতে হবে। ইসকেমিক স্ট্রোকে সচরাচর ইনজেকশন রিকমবিনেন্ট হিউম্যান টিস্যু প্লাসমিনোজেন একটিভেটর (এলটিপ্লেস) বা RTPA দেয়া হয়। স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীকে সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ইনজেকশন দিলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। পরে ক্যাথল্যাবে নিয়ে এমবোলেকটমি করা হয়। এ দুটি পদ্ধতি একসঙ্গে করা যায় বলে একে ব্রিজিং থেরাপি বলে। এর পরের স্টেপে স্ট্রোকের রোগীদের মেডিকেল ম্যানেজমেন্টের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।
 
 স্ট্রোক থেকে কী জটিলতা হতে পারে?
 
এ থেকে রোগীর দীর্ঘস্থায়ী পঙ্গুত্ব ও মৃত্যুঝুঁকি থাকে। অনেক রোগীর চলাফেরায় অক্ষমতার জন্য বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় বলে শরীরে ক্ষত বা ঘা হয়। 
 

No comments